মেহেদী হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মধ্য পেয়ারপুর গ্রামে এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলাও হয়েছে। মামলার ৮দিনপর ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গতকালরাতে সদর উপজেলা ঘটকচর এলাকা থেকে শিশু ধর্ষণের প্রধান আসামী সোহাগ খানকে হাতে নাতে ধরতে সক্ষম হয় মাদারীপুর থানা পুলিশ। এবং তাকে আজ দুপুরের পর আদালতে হাজির করা হবে বলে পুলিশ সুত্রে জানা যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হাসান জানান, গতকাল বুধবার রাতে ঘটকচর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় আজ তাকে আদালতে পাঠাবো।
উলেখ্য- মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মধ্য পেয়ারপুর গ্রামের ভ্যানচালকের মেয়ে স্থানীয় কুমড়াখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্রী (৫) গত ৮ মার্চ প্রতিদিনের মতো স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে বাড়ির পাশে খেলতে যায়। এসময় প্রতিবেশি ফারুক খানের ছেলে বলাইকান্দি জুনিয়র হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সোহাগ খা (১৬) চকলেটের কথা বলে ঐ শিশুকে ডেকে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে।
এসময় ঐ শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং রক্তপাত হতে থাকে। ঐ ঘটনায় পর ধর্ষক সোহাগ পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটির কান্নার শব্দ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
ঘটনার দিন বিকেলে শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ঘটনার পরের দিন ৯ মার্চ শিশুটির মা বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে। মামলা নং-১৫। এলাকায় আসামিপক্ষের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভিকটিমের বাবা।